ফরিদপুরে দুদিন ধরে বিদ্যুতসেবা বন্ধ থাকায় জনজীবন যেন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ অফিস বলছে, জাতীয় গ্রেডের ব্রেকারে ত্রুটির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তবে বিদ্যুতের গ্রেডের ব্রেকার গত শনিবার রাতে মেরামত করা হলেও সংযোগ দেয়ার আগেই ফের রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সড়কে বৃহৎ গাছ পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে একটানা বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কারো বাসায় পানি নেই, ফ্রিজের জিনিসপত্রও নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া অটোরিকশা কিংবা ইজিবাইকে চার্জ দিতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
শিল্প ও উৎপাদনমুখী কলকারখানাও বন্ধ রয়েছে। এতে জেলার ব্যবসায়ীরা ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে একটানা দুদিন বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকটা অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মোবাইলে চার্জ না থাকা ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মো. এনায়েত হোসেন বলেন, গত দুই দিন ধরে একটানা বন্ধ বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে।
বোয়ালমারী পৌর সদরের মৎস্য ব্যবসায়ী টুটুল রায় বলেন, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার প্রভাব এখন হাটে বাজারেও পড়ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বরফ কলগুলো বরফ উৎপাদন করতে পারেন নি ফলে জেলা ও উপজেলার মৎস ব্যবসায়ীরা সময়মত মাছ বরফজাত করতে না পারায় বহু মাছ নষ্ট হয়ে গেছে।
ফরিদপুর শহরের বাসিন্দা সেলিমুজ্জামান বলেন, বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া মানুষের জীবন যাপন অচল। দুদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের যে কি ভোগান্তি তা বলে বোঝানোর মতো নয়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (সেবা) এস.এম রুবাইদ হোসেন বলেন, বিদ্যুতের জাতীয় গ্রেডের ব্রেকারে ত্রুটির কারণে ফরিদপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে, গত শনিবার রাতে ব্রেকার মেরামত করা হলেও রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঝড়ে সড়কে গাছ পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের সবাই কাজ করছেন গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে। হয়তো রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ ধীরে ধীরে ফরিদপুরের সব স্থানে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। মোট থেমে থেমে প্রায় ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার শিকার ফরিদপুর অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ।